রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৭ অপরাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধি॥ দেশে মহামারী করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। এরই মধ্যে নিজেকে রক্ষায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সংক্রমণ রোধের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ১৮ দফা নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত প্রচার-প্রচারণা না থাকায় জনসাধারণের মাঝে নেই কোন জনসচেতনতা। এ কারণে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বরগুনার আমতলী উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে সরকার ঘোষিত ১৮ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য পৌর শহরে মাইকিং ও মাস্ক বিতরণ করা হলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলে করোনা সংক্রমণ রোধে এ নিদের্শনা মানাতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চোঁখে পড়ার মত কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। কালেভদ্রে দু’একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে দেখা গেলেও তা পর্যাপ্ত নয়। ফলে পৌরশহর ও উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের হাট-বাজার-পাড়ার গলিগুলোতে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সচেতন মহল।
পৌরশহর ও উপজেলার গ্রাম এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজার ও অলিগলি ঘুরে দেখা গেছে, অনেকেই মানছেন না কোন ধরনের সামাজিক দূরত্ব। রাস্তায় চলাচলরত অধিকাংশ মানুষ মুখে মাস্ক ব্যবহার করছে না। বহুলোক একত্রিত হয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে শরীরের সঙ্গে শরীর স্পর্শ করে চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিতে ও চা পান করতে দেখা যায়। সড়ক ও নৌপথে ৬০% ভাড়া বৃদ্ধি পেলেও অভ্যন্তরীন রুটে চলাচলরত যাত্রীবাহী বিভিন্ন যানবাহন ও নৌযানে মানা হচ্ছে না কোন স্বাস্থ্যবিধি। পূর্বের ন্যায়ই চলছে তাদের যাত্রী পরিবহন। হোটেল রেস্তোঁরায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। অধিকাংশ হোটেল রেস্তোঁরায় নোংরা পরিবেশে খাবার পরিবেশন করতে দেখা যায়।
এছাড়া বিভিন্ন সরকারি ও বে-সরকারি দপ্তরে সেবাদানে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহারের কথা থাকলেও বাস্তবে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সেবাগ্রহনকারীর অধিকাংশ ব্যক্তি মাস্ক ব্যবহার করছেন না।
আমতলী পৌরশহর ও গ্রামাঞ্চলের বেশ কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, করোনা প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত ১৮ দফা বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসাধারনকে সচেতন করতে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে ও মাস্ক ব্যবহার করতে চোখে পড়ার মত পদক্ষেপ নিতে তারা এখন পর্যন্ত দেখেননি। এছাড়া সরকারিভাবে তেমন কোন প্রচার-প্রচারণা না থাকায় সাধারণ মানুষ মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, মহামারী করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য সরকার ঘোষিত ১৮ দফা নিদের্শনা পালনের জন্য মাইকিং করেছি। জনসাধারনকে সচেতন করতে মাস্ক বিতরণ ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা করেছি। গ্রামাঞ্চলের মানুষকে সচেতন করতে ও সরকার ঘোষিত ১৮ দফা বাস্তবায়নে ইউনিয়ন পরিষদকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোনায়েম সাদ মুঠোফোনে বলেন, করোনা সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হলে জনগমাগম এড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং সরকার ঘোষিত ১৮ দফা নিদের্শনা পালন করতে হবে।
Leave a Reply